মহান আল্লাহ পাক উনি ইরশাদ করেন, “নিশ্চয়ই
আমি ক্বদরের রাত্রিতে কুরআন শরীফ নাযিল করি। আপনি তো জানেন ক্বদরের রাত্রির
ফযীলত কি? ক্বদরের রাত্রি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ রাত্রিতে হযরত
জিবরীল আলাইহিস সালাম উনি ফেরেশতাসহ অবতীর্ণ হন মহান আল্লাহ পাক উনার
নির্দেশে সকল বিষয়ের প্রতি সালাম বর্ষণ করেন ছুবহে ছাদিক পর্যন্ত।”
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ক্বদরের রাত্রিতে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনি একদল ফেরেশতাসহ যমীনে অবতীর্ণ হন। অতঃপর দাঁড়ানো, বসা সকলের প্রতি ছলাত বর্ষণ করেন।”
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “পাঁচ রাতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়- ১. রজব মাসের পহেলা রাত, ২. বরাতের রাত, ৩. ক্বদরের রাত ও ৫. দুই ঈদের দুই রাত্র।”
শবে বরাত বা অন্যান্য রাত্রিগুলো যেরূপ নির্দিষ্ট শবে ক্বদর তদ্রূপ নির্দিষ্ট নয়। শবে ক্বদর রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত্রগুলোর যেকোন রাত্রিতেই হতে পারে। তাই শেষ দশ দিনের প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিতে শবে ক্বদর তালাশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আর হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, “ক্বদরের রাত্রিতে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনি একদল ফেরেশতাসহ যমীনে অবতীর্ণ হন। অতঃপর দাঁড়ানো, বসা সকলের প্রতি ছলাত বর্ষণ করেন।”
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “পাঁচ রাতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়- ১. রজব মাসের পহেলা রাত, ২. বরাতের রাত, ৩. ক্বদরের রাত ও ৫. দুই ঈদের দুই রাত্র।”
শবে বরাত বা অন্যান্য রাত্রিগুলো যেরূপ নির্দিষ্ট শবে ক্বদর তদ্রূপ নির্দিষ্ট নয়। শবে ক্বদর রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত্রগুলোর যেকোন রাত্রিতেই হতে পারে। তাই শেষ দশ দিনের প্রত্যেক বেজোড় রাত্রিতে শবে ক্বদর তালাশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্বয়ং
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনি রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ দশ দিন ই’তিকাফ করতঃ বেজোড় রাত্রিগুলোতে শবে
ক্বদর তালাশ করতে বলেন। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, হযরত
আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনি বর্ণনা করেন, নূরে
মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি রমাদ্বান শরীফ-এর
প্রথম ১০ দিন ই’তিকাফ করলেন; অতঃপর রমাদ্বান শরীফ-এর দ্বিতীয় ১০ দিন একটি
তুরকী তাঁবুর নিচে ই’তিকাফ করলেন, অতঃপর উনি তাঁবু থেকে মাথা মুবারক বের
করে বললেন, আমি লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করার জন্য প্রথম ১০ দিন অতঃপর
দ্বিতীয় ১০ দিন ই’তিকাফ করেছি। তখন নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বলেন, “(হে ছাহাবায়ে কিরাম) আপনারা যারা আমার
সাথে ই’তিকাফ করছেন উনারা শেষ ১০ দিনও ই’তিকাফ করুন। এবং লাইলাতুল ক্বদর
শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাত্রগুলোতে তালাশ করুন।”
বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ-এ উল্লেখ আছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বিছাল শরীফ লাভ করা পর্যন্ত প্রতি বছরই রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ ১০ দিন ই’তিকাফ করতেন। উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার আহলিয়াগণ উনারা ই’তিকাফ করতেন।
প্রত্যেকটা মসজিদকেই পবিত্র রাখতে হবে ই’তিকাফ এবং ছলাত-এর জন্যে। ই’তিকাফের জন্য রমাদ্বান শরীফ-এর ২০ তারিখ সূর্য ডুবার পূর্বেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। ই’তিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। অর্থাৎ এক মহল্লায় কমপক্ষে একজনকে ই’তিকাফ করতেই হবে অন্যথায় সকলকে ওয়াজিব তরক্বের গুনাহে গুনাহগার হতে হবে।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি এক দিন মাত্র ই’তিকাফ করে আল্লাহ পাক উনার সন'ষ্টি-রেযামন্দির জন্য; তাহলে আল্লাহ পাক উনি ই’তিকাফকারী আর জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক পার্থক্য সৃষ্টি করে দিবেন। (এক খন্দক হচ্ছে পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত) অর্থাৎ সে জান্নাতী হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, মু’তাক্বিফ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে আর যিকির-আযকার, তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দিগী অর্থাৎ নেক কাজে মশগুল থাকবে। একজন লোক বাইরে থেকে যতটুকু নেক কাজ করবে মু’তাকিফের আমলনামায় আল্লাহ পাক ততটুকু নেকী লিখে দিবেন। সুবহানাল্লাহ।
বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ-এ উল্লেখ আছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি বিছাল শরীফ লাভ করা পর্যন্ত প্রতি বছরই রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ ১০ দিন ই’তিকাফ করতেন। উনার বিছাল শরীফ-এর পর উনার আহলিয়াগণ উনারা ই’তিকাফ করতেন।
প্রত্যেকটা মসজিদকেই পবিত্র রাখতে হবে ই’তিকাফ এবং ছলাত-এর জন্যে। ই’তিকাফের জন্য রমাদ্বান শরীফ-এর ২০ তারিখ সূর্য ডুবার পূর্বেই মসজিদে প্রবেশ করতে হবে। ই’তিকাফ সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। অর্থাৎ এক মহল্লায় কমপক্ষে একজনকে ই’তিকাফ করতেই হবে অন্যথায় সকলকে ওয়াজিব তরক্বের গুনাহে গুনাহগার হতে হবে।
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি এক দিন মাত্র ই’তিকাফ করে আল্লাহ পাক উনার সন'ষ্টি-রেযামন্দির জন্য; তাহলে আল্লাহ পাক উনি ই’তিকাফকারী আর জাহান্নামের মধ্যে তিন খন্দক পার্থক্য সৃষ্টি করে দিবেন। (এক খন্দক হচ্ছে পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত হতে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত) অর্থাৎ সে জান্নাতী হয়ে যাবে। সুবহানাল্লাহ!
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, মু’তাক্বিফ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকবে আর যিকির-আযকার, তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দিগী অর্থাৎ নেক কাজে মশগুল থাকবে। একজন লোক বাইরে থেকে যতটুকু নেক কাজ করবে মু’তাকিফের আমলনামায় আল্লাহ পাক ততটুকু নেকী লিখে দিবেন। সুবহানাল্লাহ।
শরীয়তের
দৃষ্টিতে রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ ১০ দিন ই’তিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ
কিফায়া। অর্থাৎ প্রতি মসজিদে কমপক্ষে একজন পুরুষকে অবশ্যই ই’তিকাফ করতে
হবে। যদি একজনও ই’তিকাফ না করে তবে সকলেই ওয়াজিব তরকের গুনাহে গুনাহগার
হবে। তাই সকলের উচিত রমাদ্বান শরীফ-এর শেষ ১০ দিন ই’তিকাফ করা ও বেজোড়
রাতগুলোতে লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করা।
Post a Comment