GuidePedia

0
পবিত্র কো্রআন যত আসমানি কিতাব এর চেয়ে সর্ব স্রেস্ত
“তাফসিরে রুহুল বয়ান-মহাল রাব্বুল আলামিন যখন মুসা আঃ কে দিলেন,মুসা আঃ বললেন আপনি এতবড় কিতাব দিলেন।১০০০ সুরাহ এবং ১০০০ আয়াত যুক্ত এতবড় তওরাত কিতাব।আমার উম্মাত বড় দুষ্ট।তারা এত বড় কিতাব পড়বে না।তখন আল্লাহ বলেন-মুসা শুন তুমি এত বড় তওরাত কিতাব দেখে আশ্চর্য হচ্ছ।অতছ আমি আমার মাহাবুব নবী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ কে যে কো্রআন দান করব।সেই কো্রআন কে যদি এক পাল্লাই দেওয়া হয় এবং অপর পাশে যদি সকল আসমানি কিতাব রাখা হয়।তবে,সেই কো্রআন এর দিক কোটি গুন ভারি হবে।এর সত্তেও মাহাবুব নবীর উম্মাত এর ছোট বাচ্চারা পর্যন্ত এই কো্রআন মুখস্ত করে তাদের কলবে রেখে দিবে।“

তিরমিযি শরীফ আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত-
আন আবি সায়েদ ইবনে মুয়াল্লা (রা) কুন্ত অসাল্লে ফিন মাসযিদি ফা আদা নি রাসুলুল্লাহে ওয়াসাল্লাম ফালা মুযিব আখেরাল হাদিত।(আবু সায়েদ ইবনে মুয়াল্লা আকদিন মসযিদে নামায পরতেচিলেন,আমন সময় আল্লাহর রাসুল উনাকে আহব্বান করলেন।কিন্ত অনি জবাব দিতে পারলেন না।নামায শেষ করে অনি রাসুল এর কাছে গেলেন।নবী বললেন আমি তুমাকে আহব্বান করলাম তুমি জুওাব দিলে না কেন।তখন আবু সায়েদ ইবনে মুয়াল্লা বললেন-কুনত অসাল্লি(আমি নামাযে ছিলাম।নবী বল্লেন-হা তুমি নামাযের অবস্তাই থাকার কারনে আমার উত্তর দাও নাই।আব্বালাম তাযিত ফি মা ইয়েহা ইয়েলাইহা ...এই আয়াত। তুমি কো্রআন এ পাও নায়?
(আল্লাহ বলেন-হে আম্র মুমিন বান্দা আল্লাহ এবং উনার রাসুল যখন তোমাদের কে এমন কাজের জন্য আহব্বান করবেন।যে কর্ম তুমাদের কে নতুন জীবন দিবে,তখন তুমি সাথে সাথে উত্তর দাও।।
আলা হযরত বলেন-“ফা তুয়া কি জুম্লা ফারায়েয ফারুহে,ছাবে তু আখে জুম্লা ফারায়েয ফারুহে,আস লুল ওসুলে বান্দেগি,অস তাজেদা কি হাই,আস্লুল ওসুলে বান্দেগি”
আপনারা কি কো্রআন এর তাফসির পরবেন বা শুনবেন।শুধু সাঁতার কাটতেই থাকবেন।কিন্ত শেষ হবে না।(ছে সুবে হানা সুশ্তাম দারি সাইরে গুম,হেজে কাস্তাফ ইয়ে নামকে তুম )।
১। ওয়াকত মত নামায ফরয
২। নবীর তাযিম ফরয।
আহাকামুল কো্রআন বিল যাজ্জাশ-যেটা তাফসির বিষয় এর কিতাব এ উল্লেখ আছে দুই ফরয যখন একত্রিত হয়।তখন মুস্তাফা সা এর ফরয এ প্রধান।কারন দেখুন উপএর বর্ণিত ঘটনা পড়ে জানা যায়।রাসুল সা আবু সায়েদ ইবনে মুয়াল্লা কে নামাজে থাকা অবস্তা তে দেখার পর ও ডাক দিলেন প্রশিক্ষন দিলেন।
এখানে একটা কথা-নবী যদি নামাজেও ডাক দেন তাহলে উত্তর দিতে হবে।এখন আমার নামযের কি অবস্তা? এটার জানতে মেস্কাত শরীফ,বুখারি শরীফ এর হাসিয়া এগুলি লাইব্রেরি থেকে নিয়ে পরুন।আগুলা দেওবন্দিরা লিখেছেন।দেওবান থেকে ছাপানো হইছে।
আমি বলছি এখানে-“দাল্লাল হাদিফ আলা আন্না এযাবাতার রাসুল (সা) লা তুক্তেলুস সালাত কামা আন্না কিতাবাহু বি কাওলিখা আসসালামু আলাইনা আয়্যুহান নাবী ওয়া রাহমাতুল্লাহে ওয়া বারাকাতুহু লা ইয়াক তু হ্যাঁ”
এই হাদিস প্রমাণ করে নামাযি বান্দা নামাযের যখন আত্তায়াতু তে নবীকে সালাম দিচ্ছেন।নবীর ডাক এ উত্তর দিছেন।মানে যেমনি ভাবে নামাযি বান্দারা নামাজে সালাম দেওয়ার ফলে নামায নষ্ট হচ্চে না।তেমনি নামাযি বান্দার নামায বাতিল হবে না নবীর ডাক এ উত্তর দেয়াতে।আমারা নামাযি বান্দারা নামাজে নবী কে সালাম দিচ্ছি কিনা? গায়েব করে নাকি সম্ববো্ধন করে?। সেটা আত্তায়িআতু তে পাবেন আপনারা।
মাত্র সুচনা করলাম।এখনও অনেক বাকি আছে বলার।
শুধু নামায পরলে হবে না।নামাযের মধ্যে কাওমি,ওয়াহাবি,তাবলীগ এর সাথে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর মধে দন্ধ।মনে কষ্ট নিচ্ছেন? আমি আল্লাহর ওয়াস্তে বলছি।
এই কওমি ওয়ালারা যাকে স্রদ্ধা করেন যার নাম ইস্মাইল দেহলবি মানে-ইস্মাইল শহীদ ,ওনার আক্তা কিতাব আছে,যেটার নাম ‘সেরাতুল মুস্তাক’ নামক কিতাব। কিতাবের নাম সুন্দর ।ফারসি ভাষার কিতাব।এটা আবের দেওবান থেকে উর্দু করা হইছে।
কিতাব এক যায়গাতে লেখা আছে  আপনাদের সুবিধার জননে উর্দু ভাষার এবারত টা লেখলাম-(ইসি জেইসে অর বুযুগ কি খাযা নাবী রিসালাতি মা ভি হি হো,আপ্নি হিকমাত কো লাগা দে না,আপ্নি গায়েন অর গাধা কি সুরাত মে মুসগার হনে সে বুরা হ্যাঁই।)
নাউজুবিল্লাহ...।আস্তাগফিরুল্লাহ।।
(এইভাবে হোক কোন পীর বুজুর্গ বা সেটা রাসুলে পাক (সা) হয়,নামাযের মধ্যে ধ্যান ধারনা আসা গরু গাধার আকৃতির মধ্যে ডুবে থাকার ছেয়ে নিকৃষ্ট।)
নাউজুবিল্লাহ...।আস্তাগফিরুল্লাহ।।
মনে কষ্ট নিচ্ছেন?
যখন সারা বিশ্ব থেকে প্রতিবাদ উঠল।তখন এতা পূর্ব পাকিস্তান ছিল এবং  চট্টগ্রামের হাটহাজারি-তে একটা বড় মাদ্রাসা ছিল।।এটাকে ওরা বড় মাদ্রাসা বলে।ওখানে একজন বড় মুফতি সাহেব ছিলেন যার নাম-ফয়যুল্লাহ সাহেব।ওনি একটা বই লিখছেন।
বই এর নাম –আল মুনযামুতুল মুক্তাসারা।এই বইয়ের শেষের পাতা-তে ওনি শের ট্যাঁকে টীকা টেনে ফারসি ভাষাতে লিখলেন-যেভাবে আমাদের ইস্মাইল শহিদ এর নাম এ অপবাদ দেয়া আছে।তার মধ্যে একটি অপবাদ আছে তাহল-সেরাতুল মুস্তাক এর একটি অংশ।এটা ওনি টিক লিখেছেন।
নাউজুবিল্লাহ...।আস্তাগফিরুল্লাহ।।
এটা লিখে ওনি একটা যুক্তি দিলেন-যেহেতু নবী সম্মানের পাত্র।নবীর খেয়াল আসলে সম্মানের সাথে আসবে।গরু গাধা কে আমরা সম্মান করি না।গরু গাধার খয়েয়াল আসলে সম্মান এর সাথে আসবে না,গরু গাধার খেয়ালের চেয়ে নবীর খেয়াল নিকৃষ্ট।নামায পরতেছি আল্লাহর জন্নে।এখানে আর কার তাযিম করলে শিরিক হয়ে যাবে।
নাউজুবিল্লাহ...।আস্তাগফিরুল্লাহ।।
এবার আপনি ফায়সালা করুন।নামাযের মধ্যে নবীর তাযিম শিরিক,গুনাহ নাকি এবাদত?
উপরের হাদিস টুকু আবার পড়ুন।
মুস্লিম শরিফের হাদিস,বোখারি শরিফের হাদিস-
আমাদের নবী দুনিয়াতে এসেছেন সম্বার,অনার উপর ওহি নাযিল হয়ছিল সোমবার,মক্কা থেকে হিজরত করেছেন সম্বার,দুনিয়া থেকে ইন্তেকাল করেছেন সোমবার।
যেদিন ইন্তেকাল করবেন সেদিন নবী ফযরের নামায পড়াতে আসতেছিলেন না।
ওদিন হযরত আবু বকর (রা) নবীর জন্নে অপেক্ষা করতে করতে নামাযের ওয়াক্ত যখন শেষ হয়ে যাচ্ছিল।এই কারনে সিদ্দিকে আকবর আবু বকর (রা) নামায পড়াচ্ছে।সাহাবিরা ওনার পিছনে নামায পড়তেছিলেন।মদিনা শরীফ থেকে কেবলা হল সোজা দক্ষিণে।সিদ্দিকে আকবর ওইদিক মুখ করে নামায পড়াচ্ছেন।বাম পাশে মানে পূর্ব পাশে আমাদের নবীর হুজুরা।প্রিয় রাসুলের অন্তর বলতেছেন আমিত কিচ্ছুক্ষনের মধ্যে আমার আল্ললাহ্রর কাছে চলে যাব।যাওয়ার পূর্বক্ষণে আম্র পরে আমার আবু বকর নামায পড়াচ্ছে।আমার আবু বকরের পিছনে নামায পড়াচ্ছে।আমি এই দৃশ্য দেখে যেতে চাই।তিনি দরজাই আসলেন পর্দা দুই হাত মুবারক দিয়ে সরিয়ে দিলেন।নুরানি চেহেরা টা যখন নববির শরিফের ভিতরে দুকাইএ দিলেন।তখন সিদ্দিকে আকবর বুজলেন রাসুল আমদের দিকে আসতেছেন বা আমাদের কে দেখতেছেন। সিদ্দিকে আকবর নামাযের নিয়ত অবস্তাই কেরাত বন্ধ করে নবীর দিকে ফিরে গেলেন। সিদ্দিকে আকবর হাত বাধা অবস্তাই আছেন।সমস্ত মদিনাবাসি নবীর দিকে ফিরে আছেন।যখন নামায পড়তেছিল। তখন মসজিদে অন্ধকার ছিল।যখন নবী উনার চেহেরা মুবারক দিলেন তখন পুরা মসজিদ আলোকিত হয়ে গেল।
আমার রাসুল হচ্ছেন নুর।আজকাল নুর শব্দটা তারা বলেই না। যে পাহাড়ে নবীর ওহি আসছিল সেই পাহারের নাম জাবলে নুর।আমরা মানুষ তাই না?কেয়ামতের ময়দানে উম্মাতি মুহাম্মাদি থেকে নুর বের হবে। এই পুরা ঘটনা।আমি বড় মুফতি সাহেব,মওলবি সাহেব দের কে প্রশ্ন করতে চাই।আই হাদিস এর বেপারে? তারা কি বলবে?
আবার ঘটনাতে আসি—
রাসুলে পাক সবার এই অবস্তা দেখে মুচকি হাসি দিলেন।নবীর মুচকি হাসি কেমন?
আলা হযরত বলেন-
যিশ তারাফ সুন্নে গুলিস্তান গিরাইয়ে বিজলি,যিশ তারাফ সুন্নে গুলিস্তান গিরায়ে বিজলি
অন্ধকার রাত।বিজলি গরাল।হাজার হাজার ফুলের বাগানে যখন বিজলি যাই অন্ধকারে ফুল গুলা জিলমিল করে।তেমনি রাসুলে পাক এর তাবাসসুম ছিল।
সুবহানাল্লাহ...।
আচ্ছা এখন বলেন তাদের নামাযের কি অবস্তা। বিচার করুন।গতা মদিনা শরিফের নামায রত মুসল্লি আনামযে অবস্তাই রাসুলের দিকে তাকিয়ে থাকল।এটা নামাযের অন্তরভুক্ত।এর চেয়ে নবীর তাযিম আর ই হতে পারে?
বুজাতে চাচ্ছিলাম---নামায ফরয,তাযিমে মুস্তাফা ফরয।।
আর নামাযে নবীর ধারনা আসলে নামযের কি অবস্তা?
আত্তায়াতু তে আল্লাহ নবীর খেয়াল ডুকায়ে দিয়েছেন।
“আস সালাতু মেহ্রাজুল মুমেনিন”---সহিহ হাদিস।
এর মানে হচ্ছে নামায মুমিনের জননে মেরাজ।

Post a Comment

 
Top